হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক, স্ত্রী-শ্যালক আটক
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
১৭-০৯-২০২৩ ০৯:০৪:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৭-০৯-২০২৩ ০৯:০৪:২৭ অপরাহ্ন
ছবি: সময় টিভি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জেরে নূর ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আসমা ও দুই শ্যালককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ছবি: সময় সংবাদ শওকত আলী সৈকত রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ ঘর থেকে নিহতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নূর ইসলাম শরিয়তপুরের ডামুড্যা এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রী ছিলেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ১৮ বছর আগে ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের মধ্য নরসিংপুর এলাকার আসমাকে বিয়ে করেন নূর ইসলাম। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর গনি মিয়া তাদেরকে থাকার জন্য শতাংশ পরিমাণ একটি জমি লিখে দেন। পরবর্তীতে নিজ খরচে সেখানে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন নূর ইসলাম। তবে পারিবারিক বিষয়ে প্রায় সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। এলাকাবাসীও তাদের ঝগড়ার বিষয়টি জানতেন। রোববার সকালে নিজ ঘরে নূর ইসলামের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এলাকাবাসী ও স্বজনদের দাবি, নিহতের কপালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কাটা দাগ রয়েছে। নূর ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা। ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক জানান, ধারণা করা হচ্ছে হত্যার পর মরদেহটি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও দুই শ্যালককে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা।সময়/টি
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স